মোঃ তাহেরুল ইসলাম নীলফামারী প্রতিনিধি: নীলফামারীর ডিমলার কৃষকেরা চলতি মৌসুমে বিভিন্ন হাটবাজার থেকে ক্রয় ও নিজের উৎপাদিত সংরক্ষিত আমন ধানের বীজ দিয়ে আমন ধানের বীজতলা তৈরী করে বপন করে।

কিন্তু এবারের আবহাওয়া অনুকুল না থাকায় কয়েকদিনের টানা ভারি বৃষ্টিতে স্থানীয় কৃষকদের আমন ধানের বীজতলা ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন স্থানীয় কৃষকেরা। সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার দশটি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের কৃষকদের আমন ধানের বীজতলা অতিবৃষ্টি ফলে ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছে।

বালাপাড়া ইউনিয়নের স্থানীয় কৃষক কামরুল হাসান হেলাল জানান আমি ৫ একর জমির বীজতলা তৈরী করে বীজ বপন করেছি বর্তমানে সেই বীজ দিয়ে ২ একর জমি রোপন করা সম্ভব হবে না।

উপজেলার স্থানীয় অনেক কৃষকের এই একই অবস্থা। উত্তর তিতপাড়া গ্রামের বাদশা সেকেন্দার ভুট্টু জানান, বীজতলা তৈরী করে আমন ধানের বীজ রোপন করেছি টানা বৃষ্টির ফলে চারা নষ্ট হয়ে গেছে পূণরায় বীজতলা তৈরী করে আমন ধানের বীজ বপন করেছি।

রবিবার (১৯ জুন) বিকেলে ডিমলা বাবুরহাটে দেখা যায়, আমন ধানের বীজতলা ক্ষতিগ্রস্থ্য হওয়ায় অনেক কৃষক বাজারে এসেছেন আমন ধানের বীজ ক্রয় করতে।

এসময় কথা হয় সুন্দর খাতা গ্রামের কৃষক শাহজালাল এর সাথে তিনি বলেন, আমিসহ এলাকার স্থানীয় কৃষকেরা আমন ধানের চারা বপন করেছি ঘনঘন বৃষ্টির কারনে অনেকের বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে বাজার থেকে আবারো ধানের বীজ ক্রয় করতে এসেছি।

বীজের দাম একটু বেশি ! বাজারে কেজি প্রতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা দরে স্বর্ণা, মালি, গুটিস্বণা জাতের ধানের বীজ বিক্রি হচ্ছে । হাইব্রীড জাতের ধানের বীজের দাম আরো বেশি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা।

শাহজালালের মত অনেকে হাটে এসেছে আমন ধানের বীজ ক্রয় করতে। এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ সেকেন্দার আলী বলেন, অতিবৃষ্টির ফলে নিচু এলাকায় অনেক কৃষকের আমন ধানের বীজতলা ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছে।

সরকারী প্রনোদনার বীজ বরাদ্ধ হলে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে ক্ষতিগ্রস্থ্য কৃষকদের মাঝে আমন ধানের বীজ বিতরন করা হবে। কৃষকেরা ব্রিধান-৭১, ব্রিধান-৭৫, ব্রিধান-৮৭, ব্রিধান-৯৫,

বিনা ধান-১৭, বিনা ধান-২২ উন্নত জাতের আমন ধান চাষ করলে আগাম ফলন পাবে এবং ঐ জমিতে রবিশস্য সরিষা, সূর্য্যমূখী, ভুট্টা, আলু, বাদাম ও বোরো ধান রোপন করতে পারবে।